ঠিকাদারের অফিসে হামলা, ৭ নির্মাণ শ্রমিক আহত

ঠিকাদারের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বরগুনায় স্থানীয় ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় সাতজন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সেনেরহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণ:
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সেনেরহাট এলাকায় দুটি স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে এবং বুধবার দুপুরে নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য ইট আনা হয়। ট্রাক্টরচালক ইট রাস্তার পাশে রেখে চলে যান এবং কিছু ইট রাস্তায় পড়ে। এ সময় ওই পথে মোটরসাইকেলে যাওয়া স্থানীয় ফোরকান গাজী ইট ফেলে রাখার কারণে শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। পরে ফোরকান গাজী, আজিজুল, মুছা সিকদার, জাকারিয়া, আতিক গাজী, সম্রাট, সাগর সহ ১০-১২ জন অতর্কিত ঠিকাদারের সাব-অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং রড দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে।

আবদুল হকের মন্তব্য:
সাব ঠিকাদার আবদুল হক বলেন, ট্রাক্টর এসে রাস্তার পাশে ইট ফেলে যায় এবং কিছু ইট রাস্তায় পড়ে ছিল। এ নিয়ে ফোরকান গাজী গালিগালাজ করলে আমি প্রতিবাদ করি এবং পরে সন্ধ্যায় তিনি এসে অফিসে হামলা চালায় ও শ্রমিকদের মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

সাংকেতিক মধ্যবর্তী:
ফোরকান গাজী অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলেন, শ্রমিকরা রাস্তায় ইট ফেলেছিল এবং এতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল মাত্র।

চিকিৎসায়িক মন্তব্য:
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন আহমেদ সুমন বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আইনগত প্রক্রিয়া:
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, স্থানীয় ফোরকান গাজীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক সাব-অফিসে হামলা, ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করেছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ ও পুলিশের কর্মকাণ্ড:
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি এবং অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাপ্তি:
অভিযোগটি নিয়ে আদালতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে এবং আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ন্যায় প্রদান নিশ্চিত করা হবে।