আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, ৫০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির শঙ্কা

কারা, কি, কোথা, কখন, কেন, কিভাবে এমনকি এই সব প্রশ্নের উত্তর সহ বিস্তারিত প্রস্তাবিত করার জন্য আমি এই নিউজটোয়েন্টিফোর এর এই নিউজটি অনুবাদ করতে পারি। একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলকে ‘ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন এবং ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে চারতলা ওই ভবনের নিচে আরও ৫০ জনের বেশি মানুষ চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। হামলার পর উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। এদিকে গাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া এলাকায় আরও একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে গাজায় ৬২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৫৮ জন মারা গেছে বাসাবাড়ি ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য স্থাপিত তাঁবুগুলোর ওপর চালানো হামলায়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৪৮ জন নারী ও শিশু।

তবে এই হত্যা ও ধ্বংসের মধ্যেও গাজায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় পরিচালিত বেশ কিছু বেকারি আবারও চালু হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘ ও অন্যান্য সহায়তা সংস্থার মোট ১০৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে, যাতে আটা, খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ ছিল। এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে গাজায় ২৯ জন শিশু ও বয়স্ক মানুষ অনাহারে মারা গেছেন এবং হাজার হাজার মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২২,১৯৭ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃত্যুর সংখ্যা হালনাগাদ করে ৬১,৭০০-এর বেশি বলেছে, উল্লেখ করেছে যে আরও কয়েক হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ।