বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি রবি, সম্পাদক জুয়েল
বাগেরহাটে ১৭ বছর পর পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে শেখ শাহেদ আলী রবি সভাপতি ও সৈয়দ ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৪ মে) রাতে বাগেরহাট বহুমুকি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে দুপুর ২টা ৪৫ থেকে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে তফশিল অনুযায়ী, সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রত্যক্ষ ভোটে মহিতুজ্জামান দুলাল ও শেখ আবুল কালাম আজাদ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংগীত ও পায়রা উড়িয়ে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে পৌর বিএনপির সম্মেলন শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ ইসলাম অমিত। বাগেরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এসকেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সমন্বয়ক এমএ সালাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ অহিদুজ্জামান দিপু, কামরুল ইসলাম গোরা, শমসের আলী মোহন, খান মনিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, ডা.হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, ওয়াহিদুজ্জামান পল্টুসহ জেলা ও উপজেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ ইসলাম অমিত বলেন, রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। কিন্তু এই কালো মেঘতো দেখা যাওয়ার কথা ছিল না। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়া করেছে। এরপরে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি অন্তবর্তী সরকার গঠনে রায় দিয়েছি। আমরা প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি। সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল। যে দলের শুধু সাত শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই দলের অনেক নেতাকর্মী খুন হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যার স্বীকার হয়েছে। সেই দল হিসেবে আমরা একক কৃতিত্ব দাবি করিনি। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের হতাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, যেখানে গেল ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে তারেক রহমান, তাদের কর্মীদের জন্য ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। তৃণমূলের নেতা নির্বাচনে বিএনপির মধ্যে যে গণতান্ত্রিক চর্চা, এই পদ্ধতি থেকে অন্য রাজনৈতিক দলও শিখতে পারে। আমি মনে করি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনেরও এ থেকে শেখার আছে, কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয়। এদিকে এ দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে পৌর বিএনপির সম্মেলন ও নেতা নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশি নেতাকর্মীরা।