অপরাধ প্রতিদিন: সরকারের অর্থনৈতিক প্রবণতা কি সমস্যাপ্রসূত?
স্বাগতম নতুন সাংবাদিক! আজকের আলোচনা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। গত কয়েকমাসের মধ্যে সরকারের ভিত্তি অস্থির হয়ে যাচ্ছে এবং বেসরকারি খাত এর উপর অনিয়ন্ত্রিত চাপ বাড়ছে। আমরা জানতে চাইব কেন এই সমস্যা উঠছে, আর এটি সমাধান কি আছে।
বেসরকারি খাতের অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। অপরাধ প্রতিদিনের তথ্য দেখে আমরা জানতে পেরেছি যে সরকারের অর্থনৈতিক প্রবণতা শুধু ঋণের উপর ভিত্তি করছে, যা একটি ভ্যাকুম ধরে দিচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি। বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ বেড়েছে এবং এটি দেশের অর্থনীতির উন্নতির পথে দুর্ঘটনাগত হতে পারে।
বাজেটের আকারও কমানো হয়েছে, কিন্তু আসন্ন বাজেটে বেসরকারি খাতকে উজ্জীবিত করার কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ঋণের লাগাম টেনে ধরার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু এখন সরকারের অর্থনৈতিক প্রবণতা শুধু ঋণমুখী।
সরকারের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বেসরকারি খাতকে সাহস দেওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো। অবিলম্বে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় হয়রানি বন্ধ করা উচিত। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে অনতিবিলম্বে। ব্যবসায়ীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, দুদকে ডেকে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করতে হবে দেশের স্বার্থে। কারও ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অর্থনীতিকে ধ্বংস করা উচিত হবে না।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সেটি নিয়েও এখন চলছে উত্তেজনা। এক ধরনের টানাপোড়েনে সরকার এনবিআরের দাবির মুখে সেখান থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছে। কিন্তু আইএমএফের টাকা পেতে গেলে এটা সরকারকে করতে হবে। আমরা যদি বিদেশি ঋণের জন্য ভিক্ষায় নামি তাহলে হয়তো টাকা পাব ঠিকই, কিন্তু আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব না।
জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন পূরণ হবে না। কারণ তারা যে সব শর্ত দেবে, সেই শর্তগুলো হবে অধিকাংশ গণবিরোধী এবং জনগণের ওপর সেগুলো নানা রকম চাপ সৃষ্টি করবে। নতুন নতুন করের বোঝায় পিষ্ট করবে জনগণকে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে সাহস দেওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো। অবিলম্বে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় হয়রানি বন্ধ করা উচিত। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে অনতিবিলম্বে। ব্যবসায়ীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, দুদকে ডেকে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করতে হবে দেশের স্বার্থে। কারও ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অর্থনীতিকে ধ্বংস করা উচিত হবে না।