পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারীদের রক্ষায় বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান

এক গুচ্ছ বিশিষ্টজন জানিয়েছেন যে, নারীদের পারিবারিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য বাল্যবিয়ে বন্ধ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন একে না একে মেয়েদের বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের মুখোমুখি হয়ে ওই নারী। তার পর বাবা মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া কারো প্রেমের ডাকে সাড়া না দিলে নারীকে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি এসব সহিংসতা বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

রাজধানীর রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্র আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন। রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) পরিচালক ড. আতিকুল ইসলাম পাঠান, বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমি ও সহকারী সমন্বয়কারী সিঁথি ঘোষ, ধানমন্ডি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কাহহার, মোহামম্মদপুর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজু আহমেদ, শাপলা একাডেমির অধ্যক্ষ হাসিনা আক্তার, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ মান্নান মনির, জরিনা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একলাসুর রহমান, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক তাহাজ্জত হোসেন ও খলিলুর রহমান, রেডিয়াল পাবলিক স্কুলের শিক্ষক শামীম আহম্মেদ, কচিকন্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফ আলী, লেসন জুভেনাইল স্কুলের শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন, কমিউনিটি ফোরাম সদস্য ডাক্তার রোকনুজ্জামান ও বিএনপিএস’র পশ্চিম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন।

শুক্রবার (২৩ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, ন্যায্যতা, সমতা ও বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছবি আঁকা, রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস)। গত ১০ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮টি বিদ্যালয়ের ৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতার নানাচিত্র তুলে ধরে বলা হয়, আইনে নারী-পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নারীরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের সম্মান দিতে জানতে হবে। এ কাজে শিক্ষার্থীসহ তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

**নারীদের মুক্তির পথে পুরস্কার বিতরণ**
নারীদের প্রতি সহিংসতা থেকে মুক্তির পথে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে নারীরা সমান অধিকার প্রাপ্তির অধিকার বাঁচতে পারবেন।

**শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি**
বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

**নারী সম্মানে জনসাধারণের ভূমিকা**
জনসাধারণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে নারীদের সম্মান এবং অধিকার সংরক্ষণ করা যায়।

এই মূহুর্তে সবাইকে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এই পথে প্রগতির হাত ধরতে হবে।