ব্যারিস্টার সুমনকে জামিন না দেওয়ার পিছনে কি রহস্য আছে, এটা সম্পর্কে আলাপ শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের রুল দ্বারা প্রকাশিত করা হয়েছে, যেখানে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জামিন দেয়া হবে না।
কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হাইকোর্ট আলাপ শুরু করেছে। বুধবার (২১ মে) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ এই রুলটি জারি করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী এম লিটন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম ও খুররম শাহ মুরাদ।
গত বছরের ২১ অক্টোবর দিনগত রাত দেড়টায় রাজধানীর মিরপুর-৬ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পূর্বে তিনি নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
সাবেক স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এবং হবিগঞ্জে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। হাইকোর্টে আদাবর ও খিলগাঁও থানার মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খিলগাঁও মামলায় গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদাবর মামলায় গত ৫ আগস্ট গার্মেন্টস কর্মী রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান। ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রুবেলের বাবা নীলফামারী জেলার মো. রফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় আদাবর থানায় মামলা করেন।
সব এই মামলার গোলযোগে হাইকোর্টের রুল আবিষ্কার করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সুমনকে জামিন না দেয়ার পিছনে কি গোপন রহস্য আছে, এটা আসলে সবাইকে চিন্তায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন থাকতেই হবে, আখেরে কেন এই রুলটি আলাপ হয়েছে হাইকোর্টে? কোনো গোপন পরিস্থিতি আছে তার পেছনে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের প্রতিক্ষা করতে হবে।