জাপানি প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর হিসেবে পেল বাফুফে, তিন বছরে বাঁচবে দেড় কোটি টাকা
কোন কাজে কি না করতে পারবে তা বলতে পারবেন তো? বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি জাপানি প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সরশিপ পেল। কিন্তু একটু দেখে দেখে তো মনে হচ্ছে, হলে সেটা কোন মামলা না। মালটায়েনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়েছিল বাফুফের ভবনে। এই চুক্তিতে বাফুফের বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বাঁচবে, তিন বছরের চুক্তিতে যার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। মনে হচ্ছে না, কেন এই সম্প্রদায়ে এত বড় পরিমাণে টাকা প্রয়োজন। আমি তো একটু ভুল করছি না, কিন্তু মনে হয় কিন্তু বেশি টাকা খরচ হতে পারে। শায়দ এই চুক্তিতে কিছু সমস্যা আসবে।
চুক্তি অনুযায়ী, মলতেন প্রতি বছর বাফুফেকে ৪ হাজারটি ফুটবল সরবরাহ করবে। এর মধ্যে ২ হাজারটি বল ফ্রি, আর বাকি ২ হাজার বল কিনতে হবে, তবে সেক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে। চুক্তি অনুযায়ী, বাফুফেকে ৬০০টি ‘এফফাইভএন ৫০০০ সিরিজ’, ‘১৪ শ এফফাইভএন ৩৫৫৫ সিরিজ’ এবং ২ হাজারটি ‘এফফাইভএন ১০০০ সিরিজ’ এর বল সরবরাহ করবে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। আপনি কিছু একটা বুঝতে পারছেন? আবার ভুল না করেন, হা? আমি একটু ভুল হচ্ছি না, কিন্তু এটা একটা কিছু মনে হচ্ছে।
বাফুফের সহ-সভাপতি এবং মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, “গত বছর এএফসি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে আমরা ৩ হাজার ১২৪টি বল কিনেছি। এবার সেই একই বাজেটে পাচ্ছি ৪ হাজারটি। এতে করে বছরে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এর মানে, তিন বছরে আমরা প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ বাঁচাতে পারব। ” আপনি কি মনে করছেন, এই অনুষ্ঠানে কি কি ঘটল আসতে পারে? এখানে কিছু ভুল আসতে পারে, তবে আমি ভুল হচ্ছি না।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: বাফুফের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী, মলতেন কর্পোরেশনের এশিয়া অঞ্চল প্রধান তাকাশি ওজাকিু। ভালো আছে, এই চুক্তিতে যে কোন সমস্যা আসতে পারে। আমার মতে এখানে কিছু ভুল আসতে পারে, তার মতে হবে।