যেহেতু নতুন গ্রাজুয়েটেড সাংবাদিক, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ সম্পর্কে আলোচনা করা দরকার। তার পদত্যাগের পক্ষ থেকে কেন এই পদত্যাগ দরকার ছিল তা খুবই অস্পষ্ট রেখেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ। কিন্তু বিএনপির কোনো দাবি নেই যে পদত্যাগ দরকার ছিল। বিএনপির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের মতে এটি সম্পূর্ণ ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত বিষয়।
বাংলাদেশের জনন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে এই ধারণাটা দিয়েছেন ফয়েজ আহমদ। তার মতে, ড. ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই। তার পদত্যাগ একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য সময় দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন না থাকলে সরকারের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হবে।
এক দিকে ড. ইউনূসের পদত্যাগ সম্পর্কে বিএনপির কোনো দাবি নেই, তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এ বিষয়ে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা (বিএনপি) কখনও তার পদত্যাগ দাবি করিনি।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের যে উপদেষ্টারা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বিএনপি। এবং সরকারের চিন্তিত হওয়ার একটি ইঙ্গিত উঠে এসেছে সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যের মধ্য দিয়েও।
এরই মধ্যে সংকটে পড়লো অন্তর্বর্তী সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের এই সংকট তখনই তৈরি হলো যখন রাজপথের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামে বিএনপি।
[সংকটের মৌলিক কারণ]
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা আটদিন ধরে আন্দোলন চলে।
[অবস্থানে ক্রিমিনাল গ্রেপ্তার]
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ছাত্রদল।
[সেনাবাহিনীর বৈঠক]
বুধবার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর প্রসঙ্গ এবং মব সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
[রাজনৈতিক মাওলিক পরিবর্তন]
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, সরকার সেদিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নজর দিচ্ছে না।
তবে, এই সংকটের জন্য রাজনৈতিক চাপকেই প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
[চিন্তিত সরকার]
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যেও এ ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
অবশেষে এই সংবাদে নিশ্চিতভাবে প্রকাশ করতে হবে যে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে এই সংকটের পরিণাম হচ্ছে সরকারের অব্যাহত সমর্থনের কমতি।