এস আলমসহ ৬৮ জনের নামে দুই মামলা

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এসআলম) নামে পৃথক দুটি মামলার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ দুই মামলায় মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ মোট ৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণের (৫৫৩ ও ৫৪৯) সর্বমোট ১১০২ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধ প্রথম মামলায় মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ

দুই মামলায় প্রথম মামলায় ঋণের নামে ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুল আলমসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুল আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামিরাদের কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত ঋণ প্রদান এবং ঋণের নামে গৃহীত অর্থ পরবর্তীতে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধের মাধ্যমে স্থানান্তর/রূপান্তর/হস্তান্তর করার দায়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

সংক্ষেপ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধ আত্মসাত মামলার কারণে মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তারা কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত ঋণ প্রদান এবং ঋণের নামে গৃহীত অর্থ পরবর্তীতে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধের মাধ্যমে স্থানান্তর/রূপান্তর/হস্তান্তর করা হয়েছে। দুদক সম্মতি পেলেও এই মামলার ব্যাপারে আরও গভীরভাবে গবেষণা চালিয়ে যাবে।

মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধ এই মামলা আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। অনেকে মনে করে যে, এই রকম দুর্নীতি করার পেশাগুলি আর চলবে না। কিন্তু আমরা কি নিজেই নিশ্চিত যে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এই অপরাধ করেছেন? আমাদের মনে হলেই কেউ এই ধরনের কাজ করতে পারেন। সেইসাথে, এই ধরনের মামলার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। হয়তো এই মামলার পেছনে আরও একটা গভীর গভীরভাবে গবেষণা চালিয়ে যেতে পারে।

এই মামলার প্রবণতা দেখতে হয় তার পরে। এখন, আমরা যে সব তথ্য পেয়েছি, সেগুলি দেখে আমরা যে ধারণা গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু সত্যিই আমরা এই প্রসঙ্গে কোনো নিশ্চিততা নিয়ে কথা বলতে পারি কি, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শায়দ এই সমস্যাটা গভীরভাবে গবেষণা করার পর প্রতিবেদনে আরও বেশি ব্যাপারে বলা যাবে। কিন্তু, এই সমস্যার সমাধান জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে।

[END]