ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ
একটা খবর পেয়েছিলাম, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। এই আলোচনা সোমবার (১৯ মে) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বর্ধিত আলোচনার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সিপিবির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি ছিল।
আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দুই মাস আগে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনার আজকে সমাপ্তি ঘটেছে। আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে এবং এই মতভিন্নতা থেকে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে কিছু সমস্যা উঠতে পারে।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করার পর আশা করা হচ্ছে যে মতভিন্নতা সমাধানে সাহায্য করবে। তারিক চৌধুরী, আবিদ হোসেন, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা এবং লুনা নূর সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি প্রদর্শিত হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০ মার্চে এলডিপির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।
এই সম্পর্কে আমি নিশ্চিত না, তাই নিশ্চিতিতে বলতে পারিনি যে এই আলোচনা কেন গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে বুঝতে পারিনা কেন এই অনুষ্ঠানে কতটা গরম গল্প হয়েছে।
শুধু কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করার পর আসা জায় যে মতভিন্নতা সমাধানে সাহায্য করবে।
আমার অনুভব, ঐকমত্য কমিশনের গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল।
কেন এই প্রথম পর্যায়ের আলোচনা ভালো ছিল, বা কি এই আলোচনা এইভাবে শেষ হল তা আমি নিয়ে কোনো নিশ্চিতি পাই নাই।
শেষে আমি চাই যে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা কিভাবে শেষ হবে, সেটা আমি নিজেও জানি না।
[সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]