ভুল গণকার্যের সঙ্গে শুরু হোক এই নতুন প্রতিষ্ঠানের সংবাদ। প্রধান সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিজেদের নিয়ে ভেঙ্গে দুই ভাগে। এবার আদায়ের ‘নীতি’ এবং ‘বাস্তবায়ন’ দুই বিভাগে ভাগ করা হয়েছে।
সরকারের দাবি, ভেঙে দুই ভাগে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কমবে এবং আদায় বাড়বে। অপরদিকে, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও অংশীজনরা সংস্কারের প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ মনে করছে।
সংস্কারে কমিটির সুপারিশ পুরোপুরি গ্রহণ না করে তড়িঘড়ি করে তুঘলকি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রায় সব পর্যায়ের কর্মচারীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
এনবিআরের সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারগুলোর মতামত গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট আছে। দক্ষ লোক ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার করা প্রয়োজন ছিল।
সংস্কার কমিটির রিপোর্টে কী বলা হয়েছে জানি না, কিন্তু সুপারিশ পুরোপুরি আসেনি। কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, প্রজ্ঞাপনে তা পুরোপুরি আসেনি।
এনবিআর সংস্কারের সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়ানো, আলোচনা করে সংস্কার করা প্রয়োজন ছিল। বড় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গবেষণামূলক গ্রহণযোগ্য গবেষণা করা প্রয়োজন ছিল।
সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে অন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংস্কার চাই, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং অংশগ্রহণমূলক। অংশমূলক না হলে, স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে না হলে বৃহত্তর স্বার্থ উপেক্ষিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এনবিআরের সংস্কার কার্যক্রম ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশিত। তারা আশা করছেন, আমদানি রপ্তানিতে দীর্ঘসূত্রিতা, ব্যয় হ্রাস ও অনাকাঙ্খিত সমস্যা দূর হবে।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, এনবিআরের একটি সংস্কারের প্রয়োজন ছিল।
বাংলানিউজকে বলেন, এখন যেটা করা হয়েছে সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনের অংশবিশেষ নিয়ে অংশীজনদের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর যাতে কোনো সমস্যা হয়ে না দাঁড়ায় এজন্য সংস্কারের পাশাপাশি সংস্কার বাস্তবায়নে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে, সেই বাধা দূর করতে হবে।
তৈরি পোশাকের একক প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর তা তিন মাসের জন্য স্থগিত আছে।
দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে স্থগিত শুল্ক প্রত্যাহারে আলোচনা চলছে। আলোচনায় বাংলাদেশে কাস্টম ও বন্দরের অদক্ষতার বিষয়টিও উঠে আসছে।
এনবিআর যাতে কোনো সমস্যা হযে না দাঁড়ায় এজন্য সংস্কারের পাশাপাশি সংস্কার বাস্তবায়নে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে, সেই বাধা দূর করতে হবে।