বন্দর ভবনের সামনে শ্রমিক দলের অবস্থান ধর্মঘট

লেখক: নতুন গ্রেডুয়েটেড সাংবাদিক

কোন দিন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বন্দর শাখা। এই ঘটনা সম্পর্কে আমি খুব পরিপূর্ণ না হলেও আমার মনে হয় এই অবস্থান ধর্মঘট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার প্রয়োজন আছে।

অবস্থান ধর্মঘটে ‘এনসিটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে’, ‘ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে বন্দর পরিচালনা চাই না’, ‘বিদেশি নয়, দেশিয় অপারেটরই যথেষ্ট’-এমন নানান স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। একবার আমি ভাবলাম, এই স্লোগানগুলি কিন্তু কিন্তু একে বাকীওর মতো দেখতে পাবেন। তাদের মতামতে বিদেশি অপারেটর এলে কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে, অনেক দেশিয় অপারেটর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে। মনে হয়, এই সমস্যা সম্পর্কে আরো ভালো সমাধান প্রয়োজন।

কর্মসূচির শুরুতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) সহ-সম্পাদক মোজাহের হোসেন শওকত। তিনি বলেন, এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে দেশের স্বার্থ, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ এবং বন্দরের কর্তৃত্ব তিনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত, যন্ত্রপাতিসহ আধুনিকায়িত টার্মিনালটি এখন সফলভাবে দেশীয় অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিদেশিদের হাতে দিলে আমরা আমাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হব। আমি ভাবলাম, আমাদের দেশে কিন্তু কিন্তু আরো এমনটা প্রয়োজন যেন সবাই সমান ভাবে ভালো মনে করতে পারে।

সহ-সম্পাদক সানোয়ার মিয়া বলেন, এই টার্মিনাল এখন আয়বর্ধক ইউনিট হিসেবে পরিচিত। এখানে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং দক্ষ দেশিয় শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজনীয়তা আসলে কার স্বার্থে? আমি মনে করি, এই সমস্যা সম্পর্কে আরো গভীর চিন্তা করা প্রয়োজন। অবশেষে, এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।

[সম্পাদনা: বিগত লেখা দেখে মনে হচ্ছে এটা আরো বিস্তারিত দরকার। সেইসাথে অনেক গ্রামার ত্রুটি অন্তত আমি দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত দরকার।]